Shibaji chattopadhyay biography of alberta
শিবাজী চট্টোপাধ্যায়
শিবাজী চট্টোপাধ্যায় ভারতের একজন বিখ্যাত গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক।[২] তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪][৫] ‘চলেই যাবে জানতেই যদি’ কিংবা ‘পাখীরা চায় আকাশের নীল’ তার বিখ্যাত গান।
জন্ম
[সম্পাদনা]একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি গায়ক হিসেবে শিবাজী চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ৩রা জানুয়ারি কলকাতার মোহনবাগান লেনে। তার পরিবার সংস্কৃতিমনস্ক পরিবার হিসেবে পরিচিত ও স্বীকৃত ছিল। শিবাজীর পিতা ছিলেন একজন আইনজীবী। মধ্যমগ্রাম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বি.এসসি পাশ করেন তিনি। সুশীল মুখোপাধ্যায় এবং প্রবোধ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে সঙ্গীতে তালিম নেন।
সঙ্গীতে পদার্পণ
[সম্পাদনা]সঙ্গীত জগতের শুরুতে মূলতঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানকে অনুকরণ করতেন শিবাজী। তারপরেই তিনি বেতার এবং দূরদর্শনে গান করার সুযোগ পান। তার প্রথম রেকর্ড গাঁথানী রেকর্ড-এর ব্যানারে ১৯৮২ সালে বের হয়। শিবাজীকে সঙ্গীত পরিচালক অজয় দাস বিচার ছবিতে গান করাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। শিবাজী তারই নির্দেশনায় অনেক গান গেয়েছিলেন। পরে তিনি এইচএমভি’র ব্যানারে বাংলা আধুনিক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত রেকর্ড হিসেবে বের করেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সলিল চৌধুরী, মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতা সেন, অসীমা মুখোপাধ্যায়-সহ বাপ্পী লাহিড়ী’র সঙ্গীত নির্দেশনায় ও সুরারোপে অনেক গান গান।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে শিবাজী
[সম্পাদনা]শিবাজী চট্টোপাধ্যায় তিন শতাধিক গানে কণ্ঠ দেন। সঙ্গীত জগতের অন্যতম বিরল প্রতিভাবান পরিচালক আর.ডি.
Fia model biography templatesবর্মণের সুরে তিনি ‘নাইনটিন ফোরটি টু: এ লাভ স্টোরি’ (১৯৯৪) ছবির ‘ইয়ে সফর है’ গানটি গান। এছাড়া, তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র ‘গুদগুদি’ (১৯৯৭)-এ গান গেয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্র ‘সমাপ্তি’, ‘মমতা’, ‘শাপমুক্তি’তেও গান গেয়েছেন। ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবির একটি চমকপ্রদ গান হিসেবে ‘খোঁপার ওই গোলাপ’ গানটি গেয়েছিলেন ১৯৮৫ সালে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন তরুণ মজুমদার। তার অন্যান্য মন কাড়ানো গানের ছবিগুলো হচ্ছে - ‘পথ ভোলা’, ‘আগমন’, ‘সজনী গো সজনী’, ‘শ্রীমতি হংস রাজ’ ইত্যাদি। দ্বৈত সঙ্গীতের গান হিসেবে ‘অঞ্জলি’ ছবিতে হেমন্ত, মান্না দে, আশা ভোঁসলে’র সাথে গান গেয়েছেন। ‘আলো’, ‘ভালোবাসার অনেক নাম’, ‘চাঁদের বাড়ি’ (২০০৭) ছবির গানেও শিবাজী চট্টোপাধ্যায় অংশ নিয়েছেন।
জীবন সংসার
[সম্পাদনা]সঙ্গীত জগতের পরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে শিবাজী চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৭ সালে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী’র সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।
সংগীত পরিচালনায় শিবাজী
[সম্পাদনা]সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে শিবাজী চট্টোপাধ্যায় চাঁদের বাড়ী (২০০৭) ছবির গান পরিচালনা করেন।
সলিল চৌধুরী’র সান্নিধ্য
[সম্পাদনা]যদিও শিবাজী চট্টোপাধ্যায় তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন হেমন্ত কুমারকে অনুকরণ করে, তবুও তিনি একজন উত্তম গায়ক হিসেবে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন সুগভীর গম্ভীর, উষ্ণ ও দরাজ কণ্ঠস্বরকে কেন্দ্র করে। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং বাংলার কয়েকজন প্রথিতযশা জনপ্রিয় গীতিকারের সান্নিধ্যে গান রেকর্ড করেন। বাংলা সঙ্গীতের অন্যতম প্রবাদপুরুষ ও স্বার্থক ব্যক্তিত্ব গীতিকার সলিল চৌধুরী তাকে মহাভারতী ছবিতে গান গাওয়ান এবং কিছু একক সঙ্গীতসহ তার সহধর্মিণী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী’র সাথে দ্বৈত সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করান। একক এলবাম হিসেবে ‘যখন অসহ্য হয়’ (১৯৯০) এবং দ্বৈত সঙ্গীতের অমর এলবাম ‘আর কী বলব, বলবার কথা শেষ হয়ে গেল’ (১৯৯০) বাজারে বের হয়। এছাড়াও, দূরদর্শনে প্রচারিত তাদের গানকে কেন্দ্র করে হিন্দি ভার্সনে ‘ওরে ও সুজন মাঝি’ (১৯৯০) এলবাম বের হয়। সুন্দর এই গানগুলোর গীতিকার ছিলেন যোগেশ।